গর্ভকালীন সময়ে এড়িয়ে চলতে হবে যে খাবারগুলো
সুস্থ মা ,সুস্থ সন্তান। গর্ভধারণের (pregnancy) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
সময়টা সংকটপূর্ণ থাকে। তাই মায়ের প্রতি সব সময় যত্নশীল এবং সর্তক দৃষ্টি
রাখতে হয়। সাথে সাথে খাবার গ্রহনের ক্ষেত্রেও সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়।
কেননা মায়ের গ্রহণ করা খাবার থেকেই শিশু তার বিকাশের প্রয়োজনীয় সব
উপাদান পেয়ে থাকে।
তাই গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর , ভিটামিনযুক্ত খাদ্য নির্বাচন করা উচিত। সেইসব খাবার খাওয়া উচিত যা শিশুর উন্নত স্বাস্থ্য এবং পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য জরুরী।
একটু অসচেতনতা অনেক বড় দূর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে। প্রাণপ্রিয় সন্তান আক্রান্ত হতে পারে নানা জন্মগত সমস্যায়। বিশেষ কিছু খাবার এড়িয়ে চললে অনাকাংখিত অনেক কিছু এড়ানো যায়। হোক না তা যতই প্রিয়। সন্তানের জন্য এইটুকু ত্যাগ করাই শ্রেয়।
তাই গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর , ভিটামিনযুক্ত খাদ্য নির্বাচন করা উচিত। সেইসব খাবার খাওয়া উচিত যা শিশুর উন্নত স্বাস্থ্য এবং পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য জরুরী।
একটু অসচেতনতা অনেক বড় দূর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে। প্রাণপ্রিয় সন্তান আক্রান্ত হতে পারে নানা জন্মগত সমস্যায়। বিশেষ কিছু খাবার এড়িয়ে চললে অনাকাংখিত অনেক কিছু এড়ানো যায়। হোক না তা যতই প্রিয়। সন্তানের জন্য এইটুকু ত্যাগ করাই শ্রেয়।
যেসব খাবার গর্ভকালীন সময়ে এড়িয়ে চলা উচিত (foods that must be avoided during pregnancy)
গর্ভবতী
অবস্থায় যেনতেন ভাবে যেকোন খাবার খাওয়া অনুচিত। অবশ্যই খাদ্যের
পুষ্টিগুন ও পাশ্ব-প্রতিক্রিয়া জেনে খাওয়া উচিত। শিশুর সুস্বাস্থ্যের
ব্যাপারে কোনরকম সমঝোতা হতে পারে না। জেনে নেওয়া যাক সেই সব খাবারের
বিস্তারিত।
- ক্যাফেইনযুক্ত চা এবং কফিঃ খাবার পরিহারের তালিকায় প্রথমে আছে চা এবং কফি। চিকিৎসকের মতে ৮ আউন্স চা ,কফিতে যথাক্রমে ৪৭ মি.গ্রা. এবং ৯৫ মি.গ্রা. ক্যাফেইন থাকে। যা মায়ের ডিম্বকবাহী গর্ভপত্র ভেদ করে শিশুর হৃদস্পন্দনকে প্রভাবিত করে। সুতরাং ক্যাফেইন যুক্ত চা,কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
- কাঁচা দুধ ও ডিমঃ যদিও দুধ-ডিম উপকারী। তথাপি কাঁচা দুধ-কাচা/আধা সিদ্ধ ডিম মোটেও খাওয়া উচিত না। এমনকি কাঁচা দুধে তৈরী পনিরও খাওয়া যাবে না। কেননা এই অবস্থায় খাদ্য গুলো ব্যাকটেরিয়া যুক্ত থাকে। যা অকাল গর্ভপাত (premature abortion) ঘটাতে পারে।
- বড় ধরণের সামুদ্রিক মাছঃ কিছু সামুদ্রিক মাছ আছে যা শিশুর ক্ষতি হতে পারে এমন উপাদান বিশিষ্ট।বিশেষ করে বড় সামুদ্রিক মাছে উচ্চ পর্যায়ের mercury বা পারদ থাকে। যা শিশুর স্নায়ুবিক প্রক্রিয়ায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এর পরিমাণ বেশি হলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে ক্ষতি সাধন হতে পারে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- আধা সিদ্ধ মাংস ও লিভারঃ কাঁচা বা আধা সিদ্ধ/পোড়া মাংস কোনভাবেই খাওয়া উচিত না। যেমনঃ বারবিকিউ ।সাথে সাথে কোন প্রকার লিভার বা কলিজ খাওয়া ত্যাগ করতে হবে। এতে অতিরিক্ত পরিমানে ভিটামিন ‘এ” থাকে ।চযার ফলে শিশু নানা অপূর্ণতা নিয়ে জন্ম গ্রহন করে।
- ক্ষীরযুক্ত ফল ও কাঁচা সবজিঃ কোন অবস্থাতে গর্ভকালীন সময়ে না ধুয়ে এবং কাঁচা সবজি খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে অংকুরিত সবজি যেমন- মূলা,গাজর,মু্গ ডাল ইত্যাদি। ফল-মূল পুষ্টিকর হলেও ক্ষির(আঠালো) যুক্ত ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন- পেঁপে,আনারস বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস এটা মেনে চলতে হবে।যার ফলে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে যেতে পারে। যেমনঃ জরায়ু সংকোচন।
অতিরিক্ত পরিমানে ভিটামিন ঔষধ সেবন ত্যাগ করতে হবে। এতে সুস্থ্ সন্তানের নিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাবে।