স্মার্টফোন যেনো এখন ছবি তোলার নিত্য
অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর তাইতো এই ফোনে দেওয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের রিয়ার
ক্যামেরা। এর ক্যামেরার একটি বিশেষত্ব হলো এতে Sony IMX135 CMOS সেন্সর ব্যবহৃত
হয়েছে। এই ফোনের ক্যামেরায় জিওট্যাগিং, ফেস ও স্মাইল ডিটেকশন, প্যানোরোমা প্রভৃতি
সুবিধা বিদ্যমান। এসবের পাশাপাশি এই ফোনের ক্যামেরায় রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ,
অটোফোকাস প্রভৃতি সুবিধা। এছাড়া যারা সেলফি তুলতে বেশ ভালবাসেন তারাও অনায়াসে এই
ফোনটি পছন্দ করতে পারেন। কেনোনা সেলফি তোলা কিংবা ভিডিও কলিংয়ের জন্য এই ফোনে ৮
মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। আর হ্যাঁ, এই ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরায়
BSI সেন্সর বিদ্যমান।
ব্যবহারকারীরা যেনো দ্রুত পারফরম্যান্স ও
মাল্টিটাস্কিং সুবিধা পান সেজন্যই অক্টাকোর প্রসেসরের এই ফোনে ২ গিগাবাইটের
ডিডিআর২ র্যাম দেওয়া হয়েছে। Jupiter Z7 স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১৬ গিগাবাইটের
ইন্টারনাল মেমোরী। এছাড়া এই ফোনে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত এক্সটারনাল মাইক্রো-এসডি
কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এই ফোনে ব্লুটুথ ৪.০, ওয়াইফাই, ওয়্যারলেস হটস্পট প্রভৃতি
কানেক্টিভিটি সুবিধা রয়েছে। এছাড়া জিপিএস নেভিগেশন সুবিধাতো থাকছেই। Jupiter Z7
স্মার্টফোনটিতে এক্সিলেরোমিটার, কম্পাস, গাইরো, প্রক্সিমিটি, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সরসহ
প্রয়োজনীয় প্রায় সকল সেন্সরই রয়েছে।
OTG
সুবিধাঃ জুপিটার জেড৭ স্মার্টফোনটিতে OTG (USB On The Go) সুবিধাও রয়েছে। ফলে
ব্যবহারকারী এতে মাউস, কীবোর্ড, পেনড্রাইভ, এক্সটারনাল হার্ডডিস্কসহ বিভিন্ন ধরণের
ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারবেন। এসবের পাশাপাশি ৫ ইঞ্চি স্ক্রীনের এই ফোনে
মাত্র ২,২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে। স্ক্রীনের তুলনায় যা
খানিকটা অপ্রতুল !
মূল্যঃ
খুব শীঘ্রই এই ফোনটি বাজারে আসবে বলে জানা গেছে। এই
ফোনটির মূল্য সংক্রান্ত কোন ধরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকায় এর প্রকৃত মূল্য জানা
যায়নি। তবে এক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এর মূল্য ১২,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হবে বলে
জানা গেছে।
জুপিটার জেড৭ স্মার্টফোনটি সম্পর্কে আরও জানতে এখান থেকে ঘুরে
আসতে পারেন।
HTC Desire 616:
চলতি বছরের মাঝামাঝিতে বাজারে এসেছে এইচটিসির এই
অক্টাকোর স্মার্টফোন। ডুয়েল সীম সুবিধার এই ফোনটিতে রয়েছে ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৪
গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী, ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত এক্সটারনাল মাইক্রো এসডি কার্ড
ব্যবহারের সুবিধা। তবে এই ফোনে ১.৪ গিগাহার্টজের অক্টাকোর প্রসেসর ব্যবহার করা
হলেও বেশ আশ্চর্যজনকভাবে মাত্র ১ গিগাবাইটের র্যাম ব্যবহার করা হয়েছে ! এছাড়া এতে
চিপসেট হিসেবে রয়েছে মিডিয়াটেকের MT6592 আর জিপিউ হিসেবে মালি ৪৫০ ।
অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ জেলিবিন অপারেটিং সিস্টেমের এই
ফোনে ৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরার পাশাপাশি রয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট
ক্যামেরা। ব্যাটারী হিসেবে এতে ২,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী
ব্যবহার করা হয়েছে।
মূল্যঃ
বর্তমানে HTC Desire 616 স্মার্টফোনটি দেশের বাজারে
পাওয়া যাচ্ছে ২০,৭০০ টাকায়
! স্পেসিফিকেশন ও মূল্য বিবেচনায় এই ফোনটি হতে পারে স্বল্পমূল্যের অক্টাকোর
স্মার্টফোন ক্রেতাদের জন্য আদর্শ পছন্দ।
Micromax Canvas Knight:
মাইক্রোম্যাক্স এবার বাজারে এনেছে অক্টাকোর
প্রসেসরের নতুন স্মার্টফোন মাইক্রোম্যাক্স ক্যানভাস নাইট । এই ফোনটি এ-৩৫০ নামেও
পরিচিত । যারা উচ্চ কনফিগারেশনের স্মার্টফোন কিনতে আগ্রহী, সেইসাথে চান দামটাও
যেনো থাকে সাধ্যের মধ্যে, তাদের জন্য আদর্শ পছন্দ হতে পারে মাইক্রোম্যাক্সের নতুন
এই ফোন। উচ্চগতির প্রসেসর, উন্নত ক্যামেরা, উচ্চ রেজ্যুলেশন, সন্তোষজনক ব্যাটারী
ব্যাকআপ – সবকিছু মিলিয়ে বেশ দারুণ এক ফোন মাইক্রোম্যাক্স ক্যানভাস নাইট ! উন্নত
সব ফিচারসমৃদ্ধ মাইক্রোম্যাক্স ক্যানভাস নাইট স্মার্টফোনটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৫,৯৯০ টাকায় !
চলুন একনজরে
দেখে নিই মাইক্রোম্যাক্স ক্যানভাস নাইট স্মার্টফোনটিতে কী কী উল্লেখযোগ্য ফিচার
থাকছে –
- অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ জেলিবীন
- ৫ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে
- ২ গিগাবাইটের র্যাম
- ২ গিগাহার্টজের ট্রু-অক্টাকোর প্রসেসর
- ৩২ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী
- ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ৪.০, জিপিএস
- ১৬ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেলের
ফ্রন্ট ক্যামেরা
- ২৩৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী
- ডুয়েল সীম সুবিধা
মাইক্রোম্যাক্স
ক্যানভাস নাইটের ভালো লাগার দিকসমূহঃ
- আকর্ষণীয় ডিজাইন
- সন্তোষজনক ব্যাটারী ব্যাকআপ
- ভালো মানের ক্যামেরা
- মাল্টিটাস্কিংয়ের ক্ষেত্রে স্মুথ পারফরম্যান্স
মাইক্রোম্যাক্স
ক্যানভাস নাইটের কিছু সীমাবদ্ধতাঃ
- এক্সটারনাল মেমোরী কার্ড ব্যবহারের সুবিধা না থাকা
- খানিকটা আউটডেটেড অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ জেলিবীন অপারেটিং
সিস্টেম
মূল্যঃ বর্তমানে মাইক্রোম্যাক্স ক্যানভাস
নাইট স্মার্টফোনটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৫,৯৯০
টাকায় !
Alcatel Onetouch Idol X+:
ফরাসি স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যালকাটেলের
অক্টাকোর স্মার্টফোন আইডল এক্স প্লাস দেশের বাজারে বিপণন করছে বাংলাদেশে
অ্যালকাটেলের অনুমোদিত বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইরাসেল লিমিটেড’।
একনজরে Alcatel
Onetouch Idol X+ এর উল্লেখযোগ্য ফিচারসমূহঃ
- অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.১
- ১০৮০x১৯২০ রেজুলেশনের ৫ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে
- ২ গিগাহার্জ অক্টাকোর প্রসেসর
- ১৩.১ মেগাপিক্সেল ফুল এইচডি ক্যামেরা
- ২ মেগাপিক্সেল ১০৮০পিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
- ২ গিগাবাইট র্যাম
- ১৬ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরি
- ২৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারী
মূল্যঃ
বর্তমানে দেশের বাজারে থাকা অন্যান্য অক্টাকোর
স্মার্টফোনের তুলনায় এর ফিচার খানিকটা উন্নত হওয়ায় মূল্যও কিছুটা বেশি।
অ্যালকাটেলের এই ফোনটি বর্তমানে দেশের বাজারে ২৮,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
র্তমানে দেশের বাজারে অক্টাকোর প্রসেসরের
স্মার্টফোন রয়েছে ২ টি - Symphony Xplorer ZIII এবং Walton Primo V1, উভয় ফোনেই
ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেকের MT6592 চিপসেট । অবশ্য সম্প্রতি ওয়ালটন আরেকটি
অক্টাকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ স্মার্টফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। Primo X3 মডেলের এই স্মার্টফোনটি
জুলাই মাসে বাজারে আসবে বলে জানা গেছে। Primo V1, Primo X3 ও Xplorer ZIII – এই তিনটি
স্মার্টফোনেই ট্রু-অক্টাকোর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, মিডিয়াটেক
চিপসেট চালিত কোয়াডকোর স্মার্টফোনসমূহের অধিকাংশ সময়ই অর্ধেক কোর নিষ্ক্রিয় থাকলেও
মিডিয়াটেকের নতুন এই MT6592 চিপসেট নির্ভর স্মার্টফোনসমূহে হাই পারফরম্যান্স মোবাইল
বা HPM প্রসেস নির্ভর টেকনোলজি ব্যবহৃত হওয়ায় এর আটটি কোরই একসাথে কাজ করতে সক্ষম।
Symphony Xplorer ZIII : এখন পর্যন্ত
বাজারে সিম্ফোনীর একমাত্র অক্টাকোর প্রসেসরের স্মার্টফোন হলো Xplorer ZIII । অ্যান্ড্রয়েড
৪.২.২ জেলিবিন অপারেটিং সিস্টেমের এই ফোনটির সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর রোটেট্যাবল
ক্যামেরা। এর ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাটি ফ্রন্ট ও রিয়ার উভয় ক্যামেরা হিসেবেই
ব্যবহার করা যাবে। ফলে যারা সেলফি তুলতে ভালোবাসেন তাদের নিকট বেশ পছন্দের
স্মার্টফোন হতে পারে Xplorer ZIII ! এছাড়া এই ফোনের ক্যামেরায় অটো ফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশ
প্রভৃতি সুবিধা তো রয়েছেই।
৪.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের Xplorer ZIII স্মার্টফোনটিতে
অ্যামিগো ২.০ নামের এক বিশেষ ধরণের ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীকে
দিবে ভিন্ন এক ইন্টারফেসের স্বাদ ! ১২৮০x৭২০ পিক্সেল রেজোল্যুশন এর এই ফোনের ডিসপ্লের
পিক্সেল ডেনসিটি হলো ৩১২ পিপিআই। ১.৭ গিগাহার্টজ গতির অক্টাকোর প্রসেসরের এই ফোনে রয়েছে
১ গিগাবাইটের র্যাম, যার মধ্যে ৯৪৮ মেগাবাইট ব্যবহারযোগ্য। এই ফোনে ২,২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের
লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে। এর ব্যাটারীর টকটাইম ৪ ঘন্টা আর স্ট্যান্ডবাই
টাইম ৪০০ ঘন্টা। ১৬ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরীর এই ফোনে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত এক্সটারনাল
মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
একনজরে সিম্ফোনী
Xplorer ZIII স্মার্টফোনটির উল্লেখযোগ্য ফিচারসমুহঃ
- অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ জেলিবিন
- ৪.৭ ইঞ্চির ডিসপ্লে, যার রেজোল্যুশন ১২৮০x৭২০ পিক্সেল
- মালি-৪৫০ জিপিউ
- ১.৭ গিগাহার্টজ অক্টাকোর প্রসেসর
- ১৩ মেগাপিক্সেলের রোটেট্যাবল ক্যামেরা
- ১৬ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী, রয়েছে এক্সটারনাল কার্ড ব্যবহারের
সুবিধা
- ১ গিগাবাইটের র্যাম
- ২,২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী
এই ফোনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য
হলো, এতে রয়েছে OTG(USB On The Go) সুবিধা । ফলে ব্যবহারকারী চাইলেই এতে কীবোর্ড, মাউস,
পেনড্রাইভসহ বিভিন্ন ধরণের ইউএসবি ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন। ডুয়েল সীম সুবিধাসম্পন্ন
এই ফোনের উভয় স্লটই মাইক্রো সীম সাপোর্টেড।
মূল্যঃ অক্টাকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ Symphony
Xplorer ZIII এর বর্তমান বাজারমূল্য ২০,৯৯০ টাকা।
Walton Primo V1 : অক্টাকোর প্রসেসরের এই ফোনটি বাজারে ওয়ালটনের প্রথম অক্টাকোরের
স্মার্টফোন। উল্লেখ্য, এর আগে বাজারে আসা ওয়ালটনের সকল হাই-এন্ডের ফোনই ছিলো কোয়াডকোরের।
স্পেসিফিকেশনের দিক থেকে বর্তমানে বাজারে থাকা ওয়ালটনের স্মার্টফোনসমূহের মধ্যে
Primo V1 কে শীর্ষ তিনেই স্থান দেওয়া যায়।
৫ ইঞ্চি স্ক্রীনবিশিষ্ট এই ফোনের ডিসপ্লের
রেজোল্যুশন ১০৮০x১৯২০ পিক্সেল। এর ডিসপ্লের পিক্সেল ডেনসিটি হলো ৪৪১ পিপিআই। ডিসপ্লের
নিরাপত্তার জন্য এতে কর্নিংয়ের ৩য় প্রজন্মের গরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে।
২ গিগাবাইট র্যামের এই ফোনে সিপিউ হিসেবে
রয়েছে ১.৭ গিগাহার্টজ গতির অক্টাকোর প্রসেসর। উন্নত প্রযুক্তির এই প্রসেসর ব্যবহারকারীকে
দিবে উন্নত গ্রাফিক্স উপভোগের সুবিধা। এছাড়া এর আটটি কোরই একইসাথে সচল থাকায় অপেক্ষাকৃত
দ্রুতগতিতে মাল্টিটাস্কিং করা যাবে। বাজারে থাকা ওয়ালটনের অধিকাংশ স্মার্টফোনে অপেক্ষাকৃত
নিম্নমানের মালি-৪০০ জিপিউ ব্যবহার করা হলেও Primo V1 ফোনটিতে অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের
Mali-450MP4 জিপিউ ব্যবহার করা হয়েছে।
ওয়ালটন Primo
V1 এর উল্লেখযোগ্য ফিচারসমূহঃ
- অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ জেলিবিন
- গরিলা গ্লাস ৩ সমৃদ্ধ ৫ ইঞ্চির ডিসপ্লে, যার রেজোল্যুশন ১০৮০x১৯২০ পিক্সেল
- মালি-৪৫০ জিপিউ
- ১.৭ গিগাহার্টজ অক্টাকোর প্রসেসর
- ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা ও ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট
ক্যামেরা
- ১৬ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী, রয়েছে এক্সটারনাল কার্ড ব্যবহারের
সুবিধা
- ২ গিগাবাইটের র্যাম
- ২,২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী
Symphony Xplorer ZIII স্মার্টফোনটির ন্যায়
Primo V1 এ-ও OTG(USB On The Go) এর মাধ্যমে কীবোর্ড, মাউস, পেনড্রাইভসহ বিভিন্ন ধরণের
ইউএসবি ডিভাইস ব্যবহার করার সুবিধা বিদ্যমান। ওয়ালটনের এই ফোনে প্রক্সিমিটি সেন্সর,
গাইরোস্কোপ, এক্সেলেরোমিটার, গ্র্যাভিটি, ম্যাগনেটিক ফিল্ড (কম্পাস), অ্যাম্বিয়েন্ট
লাইট সেন্সর প্রভৃতিসহ প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরণের সেন্সরই বিদ্যমান। এছাড়া এই স্মার্টফোনটিতে
বিশেষ ফিচার হিসেবে রয়েছে কী-লেস ওয়েকয়াপ, স্মার্ট জেশ্চার, ফ্লিপ মিউট, স্মার্ট রিং
প্রভৃতি। আগ্রহীরা চাইলে Primo V1 এর Hands-on
Review দেখে নিতে পারেন।
মূল্যঃ বেশ সন্তোষজনক কনফিগারেশনের প্রিমো ভি-১
এর বর্তমান বাজারমূল্য ২২,৯৯০ টাকা।
Primo X3 : মাত্র ৫.৫ মিলিমিটার পুরুত্বের এই ফোনটির
ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে এটি বেশ সাড়া ফেলেছে। অ্যান্ড্রয়েডের
সর্বশেষ সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটক্যাট অপারেটিং সিস্টেমে চালিত প্রিমো এক্স
থ্রি স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৫ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড স্ক্রীন, যার রেজ্যুলেশন হচ্ছে
১০৮০x১৯২০ পিক্সেলের। এর ডিসপ্লের পিক্সেল ডেনসিটি হলো ৪৪১ পিপিআই। এই ফোনের ডিসপ্লের
নিরাপত্তার জন্য এতে কর্নিংয়ের ৩য় প্রজন্মের গরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে।
১.৭ গিগাহার্টজ অক্টাকোর কর্টেক্স এ-৭
প্রসেসর চালিত ওয়ালটনের আপকামিং এই স্মার্টফোনে থাকছে ২ গিগাবাইটের র্যাম । বাজারে
থাকা ওয়ালটনের অধিকাংশ স্মার্টফোনে অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের মালি-৪০০ জিপিউ ব্যবহার করা
হলেও Primo X3 ফোনটিতে অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের
Mali-450MP4 জিপিউ ব্যবহার করা হয়েছে।
Primo X3 মডেলের নতুন এই স্মার্টফোনে ১৩
মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ভালো মানের ছবি তোলা নিশ্চিত করতে এর ক্যামেরায়
BSI সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ক্যামেরায় অটোফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশ, স্মাইল ডিটেক্টর,
প্যানোরোমা মোড, ফেস ডিটেকশন, জিও ট্যাগিং প্রভৃতি সুবিধাতো থাকছেই। এসবের পাশাপাশি
সেলফি তোলা কিংবা ভিডিও কলিংয়ের জন্য রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।
একনজরে Primo
X3 স্মার্টফোনটির উল্লেখযোগ্য ফিচারসমুহঃ
- অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪.২ কিটক্যাট অপারেটিং সিস্টেম
- ৫ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে
- ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা ও ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট
ক্যামেরা
- ১.৭ গিগাহার্টজ গতির অক্টাকোর প্রসেসর
- ২ গিগাবাইটের র্যাম
- মালি ৪৫০ জিপিউ
- ১৬ গিগাবাইটের ইন্টারনাল
- ২,৪৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন পলিমার ব্যাটারী
Primo X3 ফোনটিতে ১৬ গিগাবাইটের ইন্টারনাল
মেমোরী থাকলেও এতে নেই কোন এক্সটারনাল মেমোরী কার্ড ব্যবহারের সুবিধা। তবে ওটিজি সুবিধা
থাকায় আপনি এই ফোনে পেনড্রাইভ, মাউস, কীবোর্ড, হার্ডডিস্কসহ যেকোন ধরণের ইউএসবি ডিভাইস
ব্যবহার করতে পারবেন। Primo X3 এ অ্যাক্সিলেরোমিটার, গাইরোস্কোপ, প্রক্সিমিটি, জি-সেন্সর,
লাইট সেন্সর, কম্পাস প্রভৃতিসহ প্রয়োজনীয় প্রায় সকল সেন্সরই বিদ্যমান রয়েছে। এই ফোনে
ব্লুটুথ ৪.০, ওয়াইফাই, ওয়্যারলেস হটস্পট প্রভৃতি কানেক্টিভিটি সুবিধার পাশাপাশি জিপিএস
নেভিগেশন সুবিধাও রয়েছে।
ওয়ালটনের অধিকাংশ ফোনে ডুয়েল সীম ব্যবহারের
সুবিধা থাকলেও আপকামিং Primo X3 এ একটি মাত্র সীম ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এর সীম স্লটটি
মাইক্রো সীম সাপোর্টেড। উল্লেখ্য, ওয়ালটনের ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন Primo ZX এও ১ টি
মাত্র সীম ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। মাত্র ৫.৫ মিলিমিটার পুরুত্বের এই স্মার্টফোনটি
প্রস্থে ৭০.২ মিলিমিটার ও উচ্চতায় ১৪৫.১ মিলিমিটার । আর এর ওজন মাত্র ১২৮.১ গ্রাম।
সন্তোষজনক ব্যাটারী ব্যাকআপের জন্য এই
ফোনে ২,৪৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম-আয়ন পলিমার ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে। তবে
স্ক্রীনের তুলনায় এর ব্যাটারী আরেকটু অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হলে হয়তো ভালো হতো।
এই ফোনটির মূল্য কিংবা বাজারে আসার তারিখ
সম্পর্কিত কোন ধরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত জানতে
চোখ রাখুন প্রিয়টেকে।
প্রিয় পাঠক,
চলুন একনজরে Primo V1, Primo X3 ও Xplorer ZIII এর স্পেসিফিকেশনের তুলনামূলক চিত্র
দেখে নিইঃ
স্পেসিফিকেশন
|
Primo V1
|
Primo X3
|
Xplorer ZIII
|
অপারেটিং সিস্টেম
|
৪.২.২ জেলিবিন
|
৪.৪.২ কিটক্যাট
|
৪.২.২ জেলিবিন
|
ডিসপ্লে
|
৫ ইঞ্চি
|
৫ ইঞ্চি
|
৪.৭ ইঞ্চি
|
প্রসেসর
|
১.৭ গিগাহার্টজ অক্টাকোর
|
১.৭ গিগাহার্টজ অক্টাকোর
|
১.৭ গিগাহার্টজ অক্টাকোর
|
র্যাম
|
২ গিগাবাইট
|
২ গিগাবাইট
|
১ গিগাবাইট
|
ক্যামেরা
|
১৩ মেগাপিক্সেল ও ৫ মেগাপিক্সেল
|
১৩ মেগাপিক্সেল ও ৫ মেগাপিক্সেল
|
১৩ মেগাপিক্সেল (রোটেট্যাবল)
|
ব্যাটারী
|
২,২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার
|
২,৪৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার
|
২২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার
|
জিপিউ
|
মালি ৪৫০
|
মালি ৪৫০
|
মালি ৪৫০
|
মূল্য
|
২২,৯৯০ টাকা
|
এখনও অজানা
|
২০,৯৯০ টাকা
|