প্রযুক্তিপ্রেমীদের অপেক্ষার প্রহরের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে অবশেষে বাজারে এসেছে মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের অধীনে যাওয়া মোবাইল জায়ান্ট >নোকিয়ার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন Nokia X2 , প্রিয়টেকের সম্মানিত পাঠকেরা হয়তো এতোক্ষণে জেনে গেছেন কী কী ফিচার থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.৩ জেলিবিন অপারেটিং সিস্টেম নির্ভর নোকিয়ার নতুন এই স্মার্টফোন Nokia X2 এ।
বাজারে প্রায় একই রকম কনফিগারেশনের নানা স্মার্টফোনের সমাহার থাকায় মূল্য অনুযায়ী স্মার্টফোন কিনতে গিয়ে ক্রেতারা বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান। আর তাইতো ক্রেতাদের সুবিধার্থে বাজারে আসা নিত্যনতুন সব স্মার্টফোনের হ্যান্ডস-অন রিভিউ তুলে ধরতে প্রিয়টেক বরাবরই সচেষ্ট। আর তারই ধারাবাহিকতায় পাঠকের সামনে Nokia X2 এর ইউজার ইন্টারফেস, ফিচার, পারফরম্যান্স, গেমিং রিভিউ, ব্যাটারী ব্যাকআপ প্রভৃতি নানা বিষয়ের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ তুলে ধরতেই Nokia X2 এর Hands-on রিভিউ নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন।
প্রিয় পাঠক চলুন একনজরে দেখে নিই কী কী থাকছে Nokia X2 এ –
- ৪.৩ ইঞ্চি স্ক্রীন
- ১.২ গিগাহার্টজের ডুয়েলকোর প্রসেসর
- কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ২০০ চিপসেট
- অ্যাড্রেনো-৩০৫ জিপিউ
- ১ গিগাবাইটের র্যাম
- ৪ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী
- ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত এক্সটারনাল মেমোরী কার্ড ব্যবহারের সুবিধা
- ৫ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা
- ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা
- এক্সিলেরোমিটার, প্রক্সিমিটি সেন্সর
- মাইক্রো সীম
- ডুয়েল সীম ব্যবহারের সুবিধা
- থ্রিজি, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, এফএম রেডিও
- ১৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারী
এবারে তাহলে বিস্তারিত রিভিউয়ের দিকে যাওয়া যাক-
Nokia X2 এর আনবক্সিং –
স্মার্টফোনটি কেনার পর এর বক্সে আপনি যা যা পাচ্ছেন –- Nokia X2 হ্যান্ডসেট
- ব্যাটারী
- চার্জার
- হেডফোন
- ওয়ারেন্টি কার্ড
- ইউজার ম্যানুয়াল
অপারেটিং সিস্টেম-
নকিয়ার নতুন এই স্মার্টফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.৩ জেলিবিন কাস্টোমাইজ করে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে মজার বিষয় হলো নকিয়া এই অপারেটিং সিস্টেমের নাম দিয়েছে Nokia X Software Platform , উল্লেখ্য, নোকিয়া এক্স টু এ আপনি কিন্তু সবধরণের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপই চালাতে পারবেন।
বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইনঃ
নোকিয়া এক্স টু এর ডিজাইনকে বেশ নান্দনিকই বলতে হবে। চমৎকার বিল্ড কোয়ালিটিসম্পন্ন এই ফোনটি প্রথম দেখাতেই নজর কাড়তে সক্ষম। এই ফোনটির একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এতে একটি হোম বাটন ব্যবহার করা হয়েছে, Nokia X সিরিজের আগের তিনটি মডেলেই অনুপস্থিত।১২১.৭ মিলিমিটার উচ্চতা ও ৬৮.৩ মিলিমিটার পুরুত্বের Nokia X2 এর পুরুত্ব ১১.১ মিলিমিটার, আর এর ওজন ১৫০ গ্রাম। এটি দেখতে অনেকটা নকিয়া আশা সিরিজের ফোনগুলোর মতোই এবং এর বিল্ড কোয়ালিটিও অনেকটাই ঠিক ঐরকম, কেননা উভয় ধরণের ফোনেই মূলতঃ একই ধরণের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহৃত হয়েছে। এই ফোনের বডি মূলতঃ পলিকার্বনেট দিয়ে তৈরি, ফলে এটি বেশ মজবুত।
নোকিয়া এক্স২ এর ফিনিশিং বেশ চমৎকার, বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে ফোনের কভার খোলা যাবেনা। তবে আপনি চাইলে এর ব্যাককভার অনায়াসেই বদলিয়ে ফেলতে পারবেন। এর আকর্ষণীয় ডিজাইন ও রং খুব সহজেই আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। বাজারে বর্তমানে কমলা, সাদা, কালো, লাল ও সবুজ রংয়ের Nokia X2 বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এই ফোনের ডান পার্শ্বে রয়েছে ভলিউম ও পাওয়ার বাটন। ফোনটির উপরের অংশে রয়েছে ৩.৫ মিলিমিটারের অডিও জ্যাক পোর্ট ও চার্জার তথা ডাটা কেবল পোর্ট।
ডিসপ্লেঃ
এই ফোনটির ডিসপ্লেতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে । ইতোঃপূর্বে বাংলাদেশের বাজারে আসা Nokia X এ ৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে ও Nokia XL এ ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হলেও Nokia X2 এ ৪.৩ ইঞ্চি সাইজের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফোনের ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন হলো ৮০০x৪৮০ পিক্সেল, এছাড়া এর পিক্সেল ডেনসিটিও (PPI) Nokia XL এর তুলনায় বেশি। Nokia XL এর পিপিআই মাত্র ১৮৭ হওয়াতে অনেকেই নিম্নমানের ডিসপ্লে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, আর সেকারণেই হয়তো Nokia X2 এর ডিসপ্লের পিপিআই বাড়িয়ে ২১৭ করা হয়েছে। যদিও বাজারের অন্যান্য ফোনের তুলনায় এই PPI কে খুব একটা বেশি বলা যাবেনা। তবে এর ডিসপ্লে কোয়ালিটি বেশ ভালোই। এর ডিসপ্লের টাচ সেনসিটিভিটিও বেশ সন্তোষজনক।ইউজার ইন্টারফেসঃ
Nokia X2 এ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কাস্টোমাইজ করে ব্যবহার করা হলেও এর ইউজার ইন্টারফেস কিন্তু গতানুগতিক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসমূহের মতো নয়। ইউজার ইন্টারফেসে ভিন্নতা আনতেই এতে রয়েছে উইন্ডোজ ফোন অপারেটিং সিস্টেম ৮ ও আশা প্ল্যাটফর্মের মিশেল। হোমস্ক্রীনে বিভিন্ন অ্যাপ ও উইজেট টাইলস আকারে সাজানো যায় যা কিনা লুমিয়া সিরিজের ফোনসমূহের ন্যায় ।
আপনি চাইলে ফোল্ডার তৈরি করেও বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ ও উইজেট সাজাতে পারবেন। এককথায় বলা যায়, Nokia X2 আপনাকে নতুন এক অ্যান্ড্রয়েড ইউজার ইন্টারফেসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে । প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, নোকিয়া এক্স সিরিজের সকল ফোনেই প্রায় একই ধরণের ইউজার ইন্টারফেস বিদ্যমান।

সিপিউঃ
পূর্বে কোয়াডকোর প্রসেসর ব্যবহারের কথা শোনা গেলেও Nokia X2 এ ১.২ গিগাহার্টজের ডুয়েলকোর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।জিপিউঃ
নোকিয়ার এই ফোনে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী অ্যাড্রেনো-৩০৫ জিপিউ ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও অনেক ওয়েবসাইটে এর জিপিউ অ্যাড্রেনো-৩০২ লেখা হয়েছে। ফলে এর গেমিং পারফরম্যান্স কিংবা মাল্টিটাস্কিং সুবিধা সন্তোষজনক। এতে আপনি অনায়াসেই বিভিন্ন ধরণের অ্যাপস ও গেমস বেশ স্মুথলি চালাতে পারবেন।
চিপসেটঃ
চিপসেট হিসেবে Nokia X2 এ খ্যাতনামা চিপসেট নির্মাতা কোয়ালকমের MSM8610 ব্যবহার করা হয়েছে।র্যামঃ
র্যামের দিক থেকে Nokia X2 এক্স সিরিজের অন্যান্য ফোন থেকে এগিয়ে রয়েছে। এতে ১ গিগাবাইটের র্যাম দেওয়া হয়েছে । প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, ইতোঃপূর্বে বাংলাদেশের বাজারে আসা Nokia X এর র্যাম ৫১২ মেগাবাইটের আর Nokia XL এর র্যাম ৭৬৮ মেগাবাইটের ।মেমোরীঃ
নোকিয়ার এই ফোনে রয়েছে ৪ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী । এর মধ্যে প্রায় ১.২৯ গিগাবাইট আপনি অ্যাপসের জন্য ও ১.১৭ গিগাবাইট ইন্টারনাল মেমোরী হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।তবে আপনি চাইলে এতে এক্সটারনাল মেমোরী কার্ড ব্যবহার করে এর মেমোরী বাড়িয়ে নিতে পারবেন। কেননা, এতে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরী কার্ড সাপোর্ট করে।
ক্যামেরাঃ
এই ফোনের রিয়ার ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেলের। ফলে এটি বেশ ভালো মানের ছবি তুলতে সক্ষম। এর ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবির রেজ্যুলেশন হলো ২৫৯২x১৯৪৪ পিক্সেল। এই ফোনের ক্যামেরায় আছে ৪x পর্যন্ত ডিজিটাল জুম সুবিধা। এছাড়া ক্যামেরায় রয়েছে অটোফোকাস, এলইডি ফ্ল্যাশ, জিওট্যাগিং প্রভৃতি সুবিধা।দেখুন এর ক্যামেরায় তোলা ছবি –


এছাড়া ভিডিও কলিংয়ের জন্য এই ফোনে রয়েছে ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা। তবে এর ফ্রন্ট ক্যামেরায় ভিডিও কল করা গেলেও সেলফি তুলতে চাইলে এই ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা থেকে আশানুরূপ পারফরম্যান্স পাবেননা।
ফ্রন্ট ক্যামেরায় তোলা ছবি –

মাল্টিমিডিয়াঃ
Nokia X2 এ রয়েছে Nokia MixRadio, যার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেটের সাহায্যে ইচ্ছেমতো যেকোন গান শুনতে পারবেন। এই ফোনের সাউন্ড কোয়ালিটিও বেশ ভালো মানের। নকিয়ার নতুন এই স্মার্টফোনে রয়েছে স্টেরিও এফএম রেডিও। উল্লেখ্য, MX Player, KM Player কিংবা অন্যান্য প্লেয়ারের সাহায্যে আপনি এতে যেকোন ফরম্যাটের ভিডিও চালাতে পারবেন।গেমিং পারফরম্যান্সঃ
গেমিং পারফরম্যান্সের দিক থেকে নোকিয়ার এই ফোন বেশ সন্তোষজনক। স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর ব্যবহৃত হওয়ায় এতে জনপ্রিয় প্রায় সকল গেমই কোন ধরণের ল্যাগ ছাড়াই খেলা যায়। আমি এই ফোনে Real Football 2014, Ashphalt 8, Dead Trigger2 প্রভৃতি গেম খেলে দেখেছি যে, কোন ধরণের ল্যাগিং ছাড়াই এসব গেম অনায়াসেই খেলা যায়।কানেক্টিভিটিঃ
নকিয়ার নতুন এই ফোনে রয়েছে ব্লুটুথ ৪.০, ওয়াইফাই, জিপিএস, ওয়াইফাই হটস্পট প্রভৃতি সুবিধা।সিমঃ
Nokia X2 মডেলের স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ডুয়েল সিম ব্যবহারের সুবিধা। আর এতে মাইক্রো-সিম স্লট রয়েছে।
সেন্সরঃ
এই ফোনে এক্সিলেরোমিটার, প্রক্সিমিটি প্রভৃতি সেন্সর ব্যবহার করা হলেও এতে গাইরোস্কোপ কিংবা ম্যাগনেট সেন্সর নেই।
ব্যাটারীঃ
৪.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লের এই ফোনে মাত্র ১৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারী ব্যবহার করা হলেও এর ব্যাটারী ব্যাকআপ বেশ ভালোই। একবার চার্জ দিলে মোটামুটি ৬-৭ ঘন্টা ইন্টারনেট চালানো যায়। উল্লেখ্য, নোকিয়া কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী এই ফোনের ব্যাটারীর স্ট্যান্ডবাই টাইম ৫৫২ ঘন্টা ও টকটাইম সর্বোচ্চ ১০ ঘন্টা। অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই অধিক মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারীর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন ! আর তাইতো আরেকটু বেশি মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারী ব্যবহার করলে হয়তো এই ফোনটি অধিক জনপ্রিয়তা পেতো ! তবে নোকিয়া কর্তৃপক্ষ হয়তো আরও একবার এটাই মনে করিয়ে দিলো – Nothing is perfect in the World of Technology !বেঞ্চমার্কঃ
কোন ডিভাইসের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য মূলতঃ তার বেঞ্চমার্ক স্কোর যাচাই করা হয়। বেঞ্চমার্ক যাচাইয়ের জন্য বর্তমানে বহুল জনপ্রিয় অ্যাপসমূহ হলো Antutu, Quadrant, Nenamark প্রভৃতি।আসুন প্রথমে দেখে নিই Antutu Benchmark এ Nokia X2 এর স্কোর –
Antutu Benchmark এ Nokia X2 এর স্কোর এসেছে ১৩০৬৯, কনফিগারেশন বিবেচনায় এই স্কোরকে মন্দ বলা যায়না।

Antutu স্কোরের দিক থেকে এর অবস্থান Samsung Galaxy S2 এর উপরে ও HTC One X এর নিচে।

Nenamark এ Nokia X2 এর স্কোর –
বেঞ্চমার্ক যাচাইয়ের আরেক অ্যাপ Nenamark এ Nokia X2 এর স্কোর এসেছে ৫৫.৬ fps, ডুয়েলকোরের ডিভাইস হিসেবে যা বেশ ভালোই।

মূল্যঃ
দেশের বাজারে মাত্র ১২,৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে Nokia X2, স্পেসিফিকেশন ও ব্র্যান্ড ভ্যালু বিবেচনায় এই মূল্যকে সহনশীলতার পর্যায়েই বলা যায়।Nokia X2 এর ভালোলাগার দিকসমূহঃ
- আকর্ষণীয় ডিজাইন
- চমৎকার ইউজার ইন্টারফেস
Nokia X2 এর কিছু সীমাবদ্ধতাঃ
- নিম্নমানের ফ্রন্ট ক্যামেরা
- অ্যান্ড্রয়েড প্রেমীদের নিকট এক বহুল জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন Google Play Store, প্রায় ১০ লক্ষাধিক অ্যাপ্লিকেশনের সমাহার রয়েছে গুগলের এই স্টোরে । কিন্তু Nokia X2 এ নেই Google Play Store ! তবে দুঃশ্চিন্তার কিছুই নেই ! অ্যাপ ডাউনলোডের জন্য এতে নোকিয়ার নিজস্ব স্টোর রয়েছে, এছাড়া আপনি চাইলে এতে Google Play Store ইন্সটল করে চালাতে পারবেন। (পরবর্তীতে এই বিষয়ে বিস্তারিত টিউটোরিয়াল প্রকাশ করা হবে) । তবে আপনি কিন্তু এই ফোনে 1mobile, Yandex Store, Go Market প্রভৃতি অ্যাপ মার্কেট ইনস্টল করেও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারবেন ।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তঃ
যেহেতু Nokia X2 দেশের বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন, তাই সম্মানিত পাঠকদের সুবিধার্থেই এই হ্যান্ডস-অন রিভিউটি তুলে ধরা। স্পেসিফিকেশন, শক্তিশালী হার্ডওয়ার, পারফরম্যান্স, ব্র্যান্ড ভ্যালু, মূল্য প্রভৃতি বিবেচনায় সমসাময়িক অন্যান্য ফোনের তুলনায় হয়তো এগিয়েই থাকবে Nokia X2, এছাড়া ইতোঃপূর্বে বাজারে আসা Nokia X, Nokia X+ কিংবা Nokia XL এই তিনটি ফোনের কনফিগারেশন যাদের পছন্দ হয়নি তারাও হয়তো নোকিয়া এক্স২ কে পছন্দের তালিকাতেই রাখবেন।রিভিউটি পড়ার পর আপনিই সিদ্ধান্ত নিন Nokia X2 কিনবেন নাকি অন্য কোন ফোন ??? আর হ্যাঁ , অবশ্যই মন্তব্যের ঘরে এ সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেননা।