প্রাকৃতিক উপায়ে চুল স্ট্রেইট করার পদ্ধতি
বর্তমান সময়ে ফ্যাশনে মেয়েদের কাছে স্ট্রেইট চুল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
মেয়েদের ধারণা স্ট্রেইটচুলে তাদের অনেক আকর্ষণীয় ও সুন্দর দেখায়। তাই
পার্লারগুলোতে কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে চুল স্ট্রেইট করা হয়। নানা
ধরণের ক্যামিকেল ব্যবহার করে কৃত্রিম উপায়ে চুল স্ট্রেইট করা হলেও তা চুলের
স্বাভাবিকতা নষ্ট করে দেয়।
কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেন না, কৃত্রিম
উপায়ে চুল স্ট্রেইট না করে কিছু সময় ব্যয় করে ঘরে বসেই প্রাকৃতিক উপায়ে
আপনি পেতে পারেন সুন্দর, মসৃণ ও স্ট্রেইট চুল। এতে আপনার চুল রুক্ষ হবারও
কোন আশঙ্কা থাকেনা। তবে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে পেতে পারেন স্টেইট, উজ্জ্বল
ও মসৃণ চুল।
জেনে নিন প্রাকৃতিক ভাবে স্ট্রেইট করার তিনটি পদ্ধতি।
- একটি বাটিতে ২ টি ডিম ভালভাবে ফাটিয়ে ২ চা চামচ অলিভ অয়েল ভালভাবে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। চুলের জট ভালভাবে ছাড়িয়ে নিন। হেয়ার ব্রাশের সাহায্যে মিশ্রণটি চুলের পুরো অংশে ভালভাবে লাগান। চুল শুকিয়ে গেলে ভালভাবে শ্যাম্পু করুন ও কন্ডিশনার লাগিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২ বার প্যাকটি ব্যবহার করুন। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহারে প্রাকৃতিক ভাবেই আপনি পেতে পারেন স্ট্রেইট চুল।
- ১ কাপ মুলতানি মাটি, ১ টি ডিম, ৫ চামচ চালের গুঁড়া একটি বাটিতে ভালভাবে মিশিয়ে প্যাক বানান। মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়িয়ে হেয়ার ব্রাশের সাহায্যে প্যাকটি পুরো চুলে লাগান। যতটা সম্ভব প্যাক লাগানো চুল সোজা রাখার চেষ্টা করবেন। পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত পেস্টটি চুলে রাখুন। শুকিয়ে গেলে চুল ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহারে চুল দ্রুত স্ট্রেইট, উজ্জ্বল মসৃণ হয়।
- ৩ কাপ দুধ, ২ কাপ পানি ও ২ টেবিল চামচ একটি বাটিতে নিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এবার চুলের জট ছাড়িয়ে পুরো চু্লে মিশ্রণটি ভালভাবে স্প্রে করে করুন। মাঝে মাঝে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আছড়ে নিন। চুল স্প্রে করে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। চুল শুকিয়ে গেলে ভালভাবে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগান। এই পদ্ধতিতে চুল স্ট্রেইট করালে পানি না লাগানো পর্যন্ত চুল স্ট্রেইট থাকবে।
প্রকাশিত লেখাগুলো সংশ্লিষ্ট লেখকের
ব্যক্তিগত মতামত ও সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে লিখিত। তাই এসব লেখাকে সরাসরি
চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য অথবা রূপচর্চা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ হিসেবে গণ্য
করা যাবে না। স্বাস্থ্য/ রূপচর্চা সংক্রান্ত যেকোন তথ্য কিংবা চিকিৎসার
জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের/বিউটিশিয়ানের শরণাপন্ন হোন।